Post Page After Menubar Ad

OrdinaryITPostAd

সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সত্য ঘটনা

সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সত্য ঘটনা 

আমার জীবনের একটি স্মরনীয় ঘটনা। ২০০৪ সালে আমি সাউড আফ্রিকা যায়। কিভাবে গেলাম তার বর্ননা দিচ্ছি :

আমি আদম ব্যাপারী সাথে যোগাযোগ করে (২০০৪ সালে) আফ্রিকা যাওয়ার জন্য কথা বলি। আমার বৌ-এর মামা সেখানে থাকে তার সুবাদে, সে এক আদম ব্যাপারীর কথা বলে আমাকে যেতে বলে--- আমার ৭ দিনের ভিতর ভিসা এসে পড়ে। আদম ব্যাপারী যাওয়ার জন্য বলে আপনার সব রেডী হয়ে গেছে আপনি আগামীকাল সন্ধ্যা ৮.০০ টায় আপনার ফ্লাইট।

আমি সব কিছু রেডি করে দুপুর ১.০০ টায় ঢাকার রামপুরা থেকে এয়ারপোটের দিকে রওনা  দেই। আমার বাড়ীর ভাই কেউই রাজী ছিল না। যাই হোক এয়ারপোটে  পৌছিলাম। আদম ব্যাপারী আমাকে বললো আপনারা ২ (দুই) জন যাবেন। আপনি নতুন মানুষ আর আপনার সাথে একজন যাবে যে সাউথ আফ্রিকায় আগে ছিল, তার বাবার মৃত্যুতে দেশে এসেছিল সে আপনার সাথে যাবে। তখন আমার একটু ভয় কমলো। সন্ধ্য ৬.০০ টা এয়ারপোটের ভিতরে ঢুকলাম। তারপর পাসপোর্ট ও বডি চেকিং করার জন্য লাইনে দাড়ালাম। আমার সাথে যে ভাই টিকে দিল সে সামনে দাড়ালো আর আমি তার পিছনে দাড়ালাম। সেই অভিজ্ঞ ভাইটি আদম ব্যাপারীর সাথে অনেক কথা বলছিল। সে এবং আদম ব্যাপারী কথা বলছিল সে কথা গুলো হলো আমি শুনলাম--- তোমরা প্রথম দুবাই এয়ারপোটে নামবা ঐখানে কিছু সময় ট্রানজিট দিবে পরে সাউথ আফ্রিকা এয়ারপোটে নামবা।দুবাই গিয়ে একটা লাল ক্যাপ কিনবা এটা তোমাদের সাউথ আফ্রিকা এয়ারপোটে আমাদের লোক থাকবে তারা চিনে তোমাদের এয়ারপোট থেকে পার করে দিবে। আর সাউথ আফ্রিকার এয়ারপোটে ডুকে হোয়াইট লোকদের কাছে যাবে না কারন তোমাদের পাসপোট ঠিক নাই, তারা আটকিয়ে দিবে, এটা তোমাদের গলাকাটা পোসপোর্ট, ছবি পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে। তাই সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে নিগ্র বা কালো কাষ্টম ইন্সপেক্টর এর টেবিলে যাবে আর ১০০ ডলার দিলেই তোমাদের ছেড়ে দিবে। এসব অনেক কথা বলতে বলতে একজন কাষ্টম ইন্সপেক্টর এসে আমাদের সতর্ক করে বললেন, কথা বলবেন না ভালভাবে লাইনে দাড়ান। তারপরেও আমার সাথের ভাইটি ফোন করছিল আর কথা বলছিল, লাইনে ঠিকমত না দাড়ায়ে এলোমেলো ভাবে দাড়িয়ে ছিল। কিছুক্ষন পর আর এক কাষ্টম ইন্সপেক্টর এসে আমার সামনে ভাই এর কাছে থেকে পাসপোর্ট নিয়ে বললো আপনি বেশী কথা বলছেন, আইন ভঙ্গ করছেন, আপনি এই  ফ্লাইটে যেতে পারবেন না বলে তার পাসপোর্টটি নিয়ে নিল। তখন আমি ভীষন একা পড়ে গেলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। ঠিক তখনই আমার ডাক পড়ল পোসপোর্ট দেন। আমি ছিলাম লাইনের শেষ ব্যক্তি। আমি আমার পাসপোর্টটি দিলাম। তখন কাষ্টম ইন্সপেক্টর চেক করে বললো সময় নাই আপনি শেষ ব্যক্তি তারাতারি প্লেনে গিয়ে উঠুন । আমাকে সব জায়গায় আর চেক না করে আমার পাসপোটে সিল মেরে বললো প্লেনে উঠুন। আমার কানে এলো বিমান বালা বলছে আর একজন বাকী আছে তারাতারি প্লেনে উঠুন, প্লেনের দরজা বন্ধ করে দেব। আমি কিভাবে যে প্লেটে উঠে গেলাম আমার অজান্তে। উঠার পর সীটে বসলাম, কিন্তু আমার মনে অনেক প্রশ্ন কি করবো, পাশের এক ভাইকে বললাম আপনার ফোন একটু দিবেন আমি একটু ফোন করবো। তিনি দিলেন কিন্তু পাশ থেকেই বিমান বালা আমাকে বললেন এখানে নেট পাবেন না তারাতারি ফোন বন্ধ করুন। আমি প্রায়  দিশহারা হয়ে গেলাম কিভাবে যাব,  ততক্ষনে প্লেটটি রানওয়ে উড়তে শুরু করেছে।  আরো দেখুন


রাত ১২.০০ টার দিকে প্লেনটি দুবাই গিয়ে থামলো। সেখানে আমি নামতেই কিছু বাঙ্গালি ভাইকে পেলাম তারা আমাকে বললো আপনি কোথায় যাবেন। আমি বললাম সাউথ আফ্রিকা যাব। তারা বললো আমরাও সাউথ আফ্রিকা যাব। আপনি কোন আদম ব্যাপারীর সাথে যাচ্ছেন, নাম কি ? আমি বললাম আমার পুরো ঘটনা। তারা শুনে বললো আমরা ১০জন যাচ্ছি একসাথে। আমাদেরকে অন্য কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে। এই বলে সে চলে যেতে যাচ্ছিল,। 


তখন আমার বাংলাদেশের এয়ারপোটের আদম ব্যাপারীর কথাগুলে মনে পড়ে যায়। তারা বলছিল দুবাই গিয়ে একটা লাল টুপি কিনতে হবে সেটা সাউথ আফ্রিকার এয়ারপোটে পড়লে আমাকে চিনতে পারবে। আমি বাধ্য হয়ে  তাকে বললাম ভাই  ঠিক আছে আমার কপালে যা হয় হবে আমার একটা ছোট্ট উপকার করে দিবেন। আমার বৌ-এর মামা সাউথ আফ্রিকা থাকে তাকে একটা ফোন করতে হবে আর একটা লাল ক্যাপ বা টুপি আমাকে কিনে দিবেন।  তাদের অভিজ্ঞ একজন বললো এখানে ৩ ঘন্টা ট্রানজিন হবে , রাত ৩.০০ টায় আবার সাউথ আফ্রিকার ফ্লাইট। ঠিক আছে আমাকে ২০ ডলার দিতে হবে আমি আপনাকে সাউথ আফ্রিকায় ফোন করে দিব আর একটা লাল ক্যাপ কিনে দিব।

সে আমাকে নিয়ে দুবাই এয়ারপোটের দোতালা থেকে নীচে নেমে একটা স্থানে কয়েন ফেলে আমাকে সাউথ আফ্রিকার মামার সাথে কথা বলিয়ে দিলেন। আমি তাকে ২০ ডলার পকেট থেকে  দিয়ে দিলাম। তারপর লাল ক্যাপ কিনার জন্য দোকানে গেলাম, দুবাই এর মাকেটটি দেখে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। এয়ারপোটের ভিতর এত বড় মার্কেট না দেখলে বুঝতে পারবেন না। আর অন্যদিকে ভয় কাজ করছে।


কিছুক্ষন পর ঐ অভিজ্ঞ লোকটি আমাকে না বলে চলে গেলেন। আমি একদম নতুন কি করবো বুঝতে পারছি না। হঠাৎ কানে শব্দ ভেসে এলো ইংরেজী বলছে যারা সাউথ আফ্রিকায় যাবেন তারা ১৮ নম্বর কাউন্টারে যান। আমি সেখানে গেলাম, আবারো ঐ ভাইদের সাথে দেখা হলো কিন্তু তারা কথা বললো না। আমি তাদের কিছু বলতেই তারা ইশারা করে বললো আমাদের  অন্য কারো সাথে কথা বলা নিষেধ আছে। তখন আমি একাই আমার লাইনে দাড়িয়ে পড়লাম। পাসপোর্ট চেক করার পর প্লেট উঠলাম সাউথ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে--------


১০ ঘন্টার পর সাউথ আফ্রিকার এয়ারপোটে নামলাম। নামার পর দেখি এয়ারপোটে পুলিশ ভরা। সবাই চেক করছে। আমি দেখলাম আমার সেই বাঙালী ভাইদের পুলিশ চেক করছে আমি তাড়াতাড়ি লাল ক্যাপটি মাথায় দিয়ে দোতালা থেকে পুলিশকে পাশ কাটিয়ে নীচে নামলাম। তখনো কেউ আমার কাছে আসে নাই বা আমাকে আইডেনটিফাই করে নাই। আমার মনে হলো ক্যাপটি থাকলে সমস্যা হবে তাই ক্যাপটি খুলে মুহুর্তের মধ্য পিছনে পকেটে ভরে ফেললাম।

আর বাংলাদেশের এয়ারপোটে আদম  ব্যাপারী বলেছিল  কালো কাস্টম ইন্সপেক্টরের কাছে যেতে হবে। দেরী না করে দেখি   এয়ারপোটের সামনের দিকে সাদা কাষ্টম ইন্সপেক্টর আর কোনার দিকে কালো কাষ্টম ইন্সপেক্টর পাসপোর্ট চেক করছে। দ্রুত কালো কাষ্টম ইন্সপেক্টরের লাইনে চলে গেলাম।

 

কাষ্টম ইন্সপেক্টর আমার পোসপোর্টটি দেখে বললো Yor are arrest এবং ভঙ্গীতে বুঝালো তোমাকে জেলে যেতে হবে। আমার মুহুর্তে মনে পড়লো তাকে তা ১০০ ডলার দিতে হবে। আর দেরী না করে পায়ের প্যান্টের পাশে রাখা ১০০ ডলার তার টেবিলে দিলাম। সঙ্গে সঙ্গে যে আমার কাছ থেকে ডলারটি নেয়ে বললো it is small money. Give me more money. আমি তখন বললাম  This is my Last money. Please Help me. তখন সে আমাকে বললো তার আদম ব্যাপারীর নাম কি? আমি কিছু বলতে পারলাম না। শুধু বললাম Please Help Me. তখন সে আমাকে আবার বললো তোর সাউথ আফ্রিকায় কেউ আছে। আমি বললাম  মামা আছে। সে তখন চেয়ার থেকে উঠে চলে গেল। কিছুক্ষন পর ফিরে এসে বললো তোকে তো আবার বের হওয়ার গেটে আটকিয়ে দিবে। আমার বলার কোন ভাষা নেই। আবার বললাম Please help me.

                                                                    Read more                       

তারপর আমার পাসপোর্টটি দিয়ে ইশারা করলো বাহিরের  দরজার দিকে যাওয়ার জন্য। আমি আমার পোসপোর্টটি নিয়ে বাহিরের গেটে যাওয়ার আগেই সেই কাষ্টম ইন্সপেক্টরটি আমার কাছে এসে আমাকে বললো Please Give me your Passport. আমি তার মুখের দিকে তাকিতেই সে আমাকে গেটের বাইরে বের করে দিল এবং বললো Good bye.  গেট থেকে বাহির হওয়ার পর অনেক বাঙালী আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো আমাদের ভাইদের আসার কথা। তারাতো এখনো এলোনা আপনি প্রথম বাঙ্গালী একজন বাহির হলেন। আপনার কোন ভয় নাই। আমি তখন ভয়ে কথা বলতে পারছি না। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। তখন শুধু বললাম ১টি ফোন করবো আমার বৌ-এর মামার কাছে। সে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিল। আর বললো আপনি যদি চান তাহলে আমাদের সাথেও যেতে পারেন। আমরা আপনাকে চাকুরী দিব। আমাদের দোকানেও লোক লাগবে। আমি বললাম না আমার বৌর মামার কাছেই যাব। বাঙ্গালীরা আমাকে পৌছিয়ে দিল আমার বৌ-এর মামার দোকানে। কিন্তু দেখুন দুবাই থেকে ফোন করার পরও আমার বৌ-এর মামা এয়ারপোটে আসে নাই।

চলবে

সাউথ আফ্রিকায় বৌ-এর মামার কাছে ১ বছর থাকার পর আমি তাকে বললাম আমি নিজে একটা দোকান দিতে চাই। তখন সে ভীষন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল তোমাকে কি  এনেছি আমার দোকান থেকে চলে যাওয়ার জন্য। এভাবে আরো ১ বছর পার করলাম। পরে ভেবে দেখলাম সে আমাকে তার দোকানে রাখবে কিন্তু আমার নিজের দোকান করতে দিবে না। তাই খুজতে  থাকলাম আমার মতো চাকুরী করে  কিন্তু এখন দোকান নিতে চায়। খুজতে খুজতে একজন পেয়ে গেলাম। তার বাড়ী বাংলাদেশে ব্রাক্ষনবাড়িয়ায়। তার সাথে মিলে একটি দোকান নিলাম। বৌ-এর মামা  ক্ষিপ্ত হয়ে আমার আর কোন খোজ খবর নেয় নাই। ১ বছর দোকান করার পর হঠাৎ দেখি আমার পাটনারের ভাই পরিচয় দিয়ে আমাদের দোকানে একজন এসেছে। এরপর থেকেই আমার পার্টনারের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে।  অবশ্য এই মধ্য বাংলাদেশে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে যা বলার মত নয়। সংক্ষেপে একটু বলি আমার বৌ বাংলাদেশে অনেক ছেলে সাথে তার সম্পর্ক করে ডেসটেনি কম্পোনীর সাথে সে কাজ করছে। বুঝতেই ্পারছেন বৌ-এর অসমাজিক কার্যকলাপের কথা ফোন করলে সে রেগে উঠে। আমার পারিপারিক সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। তাই দেরী না করে আমার পার্টনারকে বলি আমার টাকা ফেরত দিলে  আমি চলে যাব। আমার পরিবার আগে, বিদেশে থেকে কি করবো। পার্টনার আমাকে ব্যবসার টাকা ফেরত দিলে আমি টাকা গুলো বাংলাদেশে আমার এক বিশ্বস্ত ব্যক্তির কাছে রাখি এবং আমি খুব শিগ্রই দেশে ফিরে আসবো বলে জানাই।

 অন্য দোকানে থেকে আমার পাসপোট তৈরী করে ২০০৯ সালে আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি।

চলবে।


আমি দেশে আসার পর আমার বৌ-আমাকে বলে  তোমার বাড়ীতে  আমি আর যাব না। আমার নামে ১টি জায়গা কিনে দেও। সেখানে বাড়ী করে আমরা দুজনে থাকবো। কিন্তু আমার কাছে এতো টাকা ছিল না। আমাদের একটি মেয়েও ছিল। কিছুতেই সে আমার বাড়ীতে আর আসবে না।  তার শেষ কথা আমাকে বাড়ী করে দিলে আমি তোমার সংসার করবো, তা না হলে অন্য একজন আমাকে বাড়ী করে দেবে বলে জানিয়েছে, আমি তাকেই বিয়ে করবো।


আমার সোজো ভাই  ও তার বৌ দুইজনই আমার বৌকে অপমান করেছে বলে জানায়। আরো অনেক কথা যেগুলো বলতে অনেক সময় লাগবে তাই বললাম না।   ২০১০ সালের শেষের দিকে আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।


২০১১ সালের মার্চে আমি ২য় বিবাহ করি।  আমার ২য় পক্ষের ১টি মেয়ে আছে। ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে।

চলবে।


২০১৭ সালে আমার মা ভীষন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা করে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ঢাকায় আমার বড় ভায়ের বাড়ী কিছুদিন ছিল। মা ঢাকায় থাকবে না বলে রাজবাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। রাজবাড়ী আমার সেজো ভাইয়ের বাড়ী উঠে কারন আমাদের বাড়ীটি ছিল আগের পুরানো। আর আমার সেজো ভায়ের বাড়ী ৪ তলা বিল্ডিং। সবাই তাকে সেজো ভাইয়ের বাড়ী উঠায়। মা সেখানে ভালই ছিল। হঠাৎ আমার নয়া ভাই অসুস্থ হয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভতি হলে বাড়ীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তার কিছুদিন পর হঠাৎ সেজো ভায়ের স্ত্রী বলে আমার ছেলেকে ঢাকা ভর্তি করবো সেই কারনে আমাদেরকে ঢাকায় যেতে হবে। মাকে কে রাখবে। আমার ছোট ভাই ও তার বৌ-কে বললে তারা সরাসরি না করে দেয়, বলে আমরা রাখতে পারবো না।

সেজো ভাই ও তার  বৌ সব কিছু ঠিক করে আগামীকাল ঢাকায় যাবে  সেই মুহুর্তে আমাকে ডেকে নিয়ে সেজো ভাইয়ের বৌ বলে মাকে তুমি রাখবা। আমি তখন বললাম, মা কি বলে। আমি মা কাছে গিয়ে বলি মা আমার কাছে আপনি থাকবেন। মা হাও মাও করে বলে--- মোস্তফা তুমি আমাকে রাখবি। আমি আর কোন কথা না বলে মাকে বলি চলেন এখনি আমার ঘরে। মাকে নিয়ে চলে আসি। তারপর থেকে মা আর কারো থাকে যায় নাই। সে আমার ঘরের ছিল এবং আমাকে সব সময় বলতো মোস্তফা তুমি আমার যা খায়াবি আমি তাই খাব। অন্য কেউ খাবার দিলে আমার সে খাবার দিস না। ৬ মাস পর সেজো ভাই ও ভাবী আবার বাড়ী ফিরে আসে মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে কিন্তু মা কিছুতেই তার কাছে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। মা ৩০/০১/২০২৫ ইং তারিখে ইন্তেকাল করেন।

এবার আসি আমাদের পরিবারে কথা ঃ

আমরা ৭ ভাই ও ৩ বোন। বর্তমানে বড় ভাই ও নয়া ভাই (২জন) মারা গেছেন।

চলবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url

Post Page Ad Right After Title

Advertisement

Advertisement

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪