কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কাকে বলে? চালর্স ব্যাবেজ কে? কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার কাকে বলে?
যে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র অভ্যন্তরীনভাবে তথ্য মজুদ রাখে এবং প্রদেয় নির্দেশমালা অনুসারে কোন সমস্যার গানিতিক,
যৌক্তিক এবং সঠিক ফলাফল সুনিপুনভাবে অতি দ্রুততার সাথে প্রদান করে তাকে কম্পিউটার বলে।
চালর্স ব্যাবেজ কে?
চালস ব্যাবেজ ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতে অধ্যাপক তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
১৮৩৩ সালে তিনি
“এ্যানলিইক্যাল ইঞ্জিন”
নামে একটি ম্যাকানিক্যাল কম্পিউটারের পরিকল্পনা করেন।
কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগঃ
কাঠামোগত দিক হতে কম্পিউটারকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ
১।
ডিজিটাল
(Digital) Computer
২।
এ্যানালগ
(Analog) Computer
৩।
হাইব্রিড
(Hybrid) Computer
১। ডিজিটাল কম্পিউটারঃ
গানিতিক ও যুক্তিসম্মত কাজ করতে পারে এই শ্রেনীর কম্পিউটার।
এই ধরনের কম্পিউটার বাইনারী পদ্ধতিতে অর্থাৎ ১ ও ০ এর উপস্থিতি এর উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।
২। এ্যানালগ কম্পিউটারঃ
এই ধরনের কম্পিউটার পরিমানগত দিক বিবেচনা করে কাজ করে।
বৈদ্যুতিক প্রবাহের উপস্থিতি এবং ধারার উপর ভিক্তি করে এই ধরনের কম্পিউটার নির্মিত।
এখানে ইনপুট উপাত্তের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে।
দুরত্ব ভোল্টেজ ইত্যাদির আকৃতিগত পরিমান গণনা করা যায়।
৩। হাইব্রিড কম্পিউটারঃ
ডিজিটাল এবং এ্যানালগ এই দুই শ্রেণীর কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে আরেক ধরনের কম্পিউটার যার নাম হাইব্রিড কম্পিউটার।
এই যন্ত্রের কাজের এবং উপাত্ত বিশ্লেষন প্রক্রিয়া উপরে উল্লেখিত দুই ধরনের কম্পিউটারের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
আবার কম্পিউটারের আকার,
কর্মক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া কম্পিউটারকে চারটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায়।
যেমন-
১।
সুপার
(Super) Computer
২।
মেইনফ্রেম
(Main Frame) Computer
৩।
মিনি
(Mini) Computer
৪।
মাইক্রো
(Micro) Computer
সুপার কম্পিউটারঃ
অতি সম্প্রতি এক বিশেষ ধরনের কম্পিউটার আবিস্কৃত হয়েছে যা অতি সুক্ষ্ম ও জটিল বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সমস্যা ও সমাধান অবর্ণনীয় গতিতে করে দিতে সক্ষম।
বিশেষ করে মহাকাশ গবেষনা ও মহাশুন্যের নিয়ন্ত্রন প্রচেষ্টায় এদের ব্যবহার সীমিত খুবই ব্যয়বহুল এই সকল কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলা হয়।
মেইন ফ্রেম কম্পিউটারঃ
এই শ্রেণীর কম্পিউটার গুলোতে টার্মিনালের মাধ্যমে একই সঙ্গে অনেক গুলো গ্রহনমুখ ও নির্গমনমুখ সরঞ্জাম যুক্ত করে কাজ চালনা যায়।
বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ধরনের কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।
IBM 4341, NCR N8370 ইত্যাদি এই শ্রেণীর অন্তভূক্ত।
মিনি কম্পিউটারঃ
মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কম্পিউটারকে মিনি কম্পিউটার বলা হয়।
একটি মিনি কম্পিউটারের কয়েকটি টারমিনাল লাগানো যায়।
ফলে একই সঙ্গে কয়েকজন ব্যবহারকারী যন্ত্রটিকে ব্যবহার করতে পারে।
মাইক্রো কম্পিউটারঃ
আকৃতিগত দিক থেকে অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কম্পিউটারকে মাইক্রো কম্পিউটার বলা হয়।
ইহাকে
PC (Personal Computer) নামে অভিহিত করা হয়। বিশ্বে এই কম্পিউটারের ব্যবহার
সবচেয়ে বেশী।
Part of A PC
একটি PC এর নিম্নলিখিত অংশগুলো থাকেঃ
১। ইনপুট ডিভাইস
২।আউটপুট ডিভাইস
৩।কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন অংশ
ইনপুট ডিভাইসঃ
কম্পিউআরকে কোন কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া বা উপাত্ত দেওয়ার জন্য যে মাধ্যমটি ব্যবহার করা হয় কাকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
যেমন-কীবোর্ড, মাউস,
ডিস্ক,
স্ক্যানার ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইস এর আওতাভুক্ত।
ইনপুট ডিভাইস হিসাবে কীবোর্ড এর ব্যবহারই সবচেয়ে বেশী।
আউটপুর ডিভাইস
কম্পিউটারের ইনপুট,
মেমোরী,
C.P.U এবং অন্যান্য মাধ্যম দ্বারা একটি কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আর একটি মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে ব্যবহার করা হয়।
এখানে লক্ষনীয় যে,
একটি ডিস্ক একই সাথে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস হিসাবে কাজ করতে পারে।
কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরন অংশঃ
ইহা কম্পিউটারের একটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
মানুষের মস্তিস্কের সাথে একে তুলনা করা যায়।
কার্যকারিতার দিক থেকে কম্পিউটারের C.P.U কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-
(ক)গানিতিক ও যুক্তি অংশ
(খ)নিয়ন্ত্রন অংশ
গানিতিক ও যুক্তি অংশঃ
গানিতিক ও যুক্তি সম্মত কাজ করা বা সমস্যার সমাধান করাই হলো এই অংশের কাজ।
নিয়ন্ত্রন অংশঃ
কম্পিউটার একটি প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত মেশিন।
প্রোগ্রামের নির্দেশ সমূহকে একটির পর একটি সঠিকভাবে অনুধাবনের পর নির্বাহ করা হয়।
প্রোগ্রাম নির্বাহের দায়িত্ব হচ্ছে নিয়ন্ত্রন অংশ।
এই অংশ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের কাজের সমন্বয় সাধন করে থাকে অর্থাৎ কম্পিউটার ইনপুট থেক কি ধরনের নির্দেশ আসা উচিৎ,
নিদেশের সমাধান কি হওয়া উচিৎ এবং কিসের মাধ্যমে সমাধানটি প্রকাশ করা হবে ইত্যাদি সমস্ত বিষয়কে নিয়ন্ত্রন করা অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়,
কম্পিউটারের মধ্যে তথা আদান প্রদান এবং তথ্যপ্রবাহের সামগ্রীক পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রন বিভাগের উপর।.
